শিল্প কারখানার ৯০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে: বিজিএমইএ
প্রকাশিত : ২৩:৩৫, ১০ মে ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৩৬, ১০ মে ২০১৮
এ্যাকর্ড, এ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল এ্যাকশন প্ল্যান এর আওতায় বিল্ডিং, ফায়ার, ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্সপেকশন ও কারখানা সংস্কার কাজ চলছে। গত ৫ বছরে সকল সচল কারখানা পরিদর্শনের পর সংস্কার কাজ সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যে এ্যাকর্ড আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রায় ৯০ শতাংশ সংস্কার কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমই এর সভাপতি মো. সিদ্দীকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) বিজিএমইএ ভবনস্থ অ্যাপারেল ক্লাবে বিজিএমইএ ও ক্রেতা জোট এ্যাকর্ড এর যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. সিদ্দীকুর রহমান বলেন, রানা প্লাজা দূর্ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি ওয়েক-আপ কল। এ দূর্ঘটনার পর পরই শোককে শক্তিতে পরিণত করে শিল্পে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য নিরাপদ, ঝুঁকিমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে, সেইসাথে নিরাপদ কর্মপরিবেশ গড়তে আমরা উদ্যোক্তারা আরও বেশি উদ্যোগী হয়েছি। শিল্পকে নিরাপদ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্প সংগঠন ও শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ব্র্যান্ডদের সাথে যৌথভাবে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এ্যাকর্ড, এ্যালায়েন্স ও ন্যাশনাল এ্যাকশন প্ল্যান এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, এই ৫ বছরে কারখানা সংস্কারের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমরা জানতাম না, কিভাবে ফায়ার ডোর লাগাতে হয়, কিভাবে স্প্রিংকলার লাগাতে হয়, কি ধরনের ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করতে হয়। এগুলো আমরা উদ্যোক্তারা শিখেছি। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন করেছি। যদিও সংস্কারের জন্য বিপুল অর্থের সংকুলান করতে না পারায় অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আজ আমরা গ্রীন ফ্যাক্টরীও গড়ে তুলছি। লীড সার্টিফাইড ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টি কারখানার অবস্থানই বাংলাদেশে। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে আমাদের ৬৭টি কারখানা লীড সনদ পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬টি প্লাটিনাম কারখানা। আরো ২৮০টি কারখানা সনদ পাওয়ার পাইপলাইনে আছে।
গত ৫ বছরে শিল্প অনেক পরিনত হয়েছে। নিরাপদ কর্মপরিবেশ,স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা বিষয়ক শ্রমিকের ক্ষমতায়ন, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও সবুজ শিল্পায়নে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। এখন দেশের প্রচলিত বিল্ডিং কোড মেনে ও কমপ্লায়েন্স এর শর্ত পূরন করেই কারখানাগুলো স্থাপন করা হচ্ছে। আমরা এখন বিশ্বে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে রোল মডেল। এই রোল মডেল সৃষ্টির পেছনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের পরম বন্ধু এ্যাকর্ড এর বিশাল অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, এ্যাকর্ড বাংলাদেশের পোশাকখাতে নিরাপত্তার মান নিশ্চিত করার জন্য ৫ বছর মেয়াদের ঘোষনা দিয়ে কাজ শুরু করেছিলো, যা চলতি মাসেই শেষ হয়ে যাবে। তবে, তারা যেহেতু দীর্ঘদিন এখানে কাজ করেছে এবং তাদের কাজ বুঝে নেয়ার জন্য বর্তমানে ডিআইএফই এর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার আরও ৬ মাসের জন্য এদেশে তাদের মেয়াদ বর্ধিত করেছেন। এই ৬ মাসে কার্যক্রম চালানোর জন্য সম্প্রতি সরকার ট্রানজিশন মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে। যেখানে সরকার, ব্র্যান্ড, শ্রমিক প্রতিনিধি এবং বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ ও এ্যাকর্ড এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন